আজওয়া খেজুর সৌদি আরবের মদিনার এক বিশেষ ও বার্ধক্যের খেজুর। এটি ইসলামিক ঐতিহ্য অনুসারে রাসূল (সাঃ) এর প্রিয় খাবার এবং বরকতময় বলে বিবেচিত, যা মদিনা হতে সরাসরি আনা হয়।আজওয়া খেজুরের ইতিহাস মদিনায় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর হাতে এর বীজ রোপণের সঙ্গে জড়িত। এই বিশেষ ধরনের খেজুরের উৎপত্তি সম্পর্কে একটি কিংবদন্তী অনুসারে, হযরত সালমান ফার্সী (রাঃ)-কে মুক্তি দেওয়ার শর্ত হিসেবে একজন ইহুদী তাকে ৬০০ দিনার এবং কিছু খেজুর গাছ লাগানোর কথা বলেছিল। নবীজি (সাঃ) নিজে এই গাছগুলোতে খেজুর ফল আসার ব্যবস্থা করেন, যা আজওয়া খেজুরের বিশেষ গুরুত্বের কারণ।

বিশেষ বরকত ও ফজিলত:
আজওয়া খেজুরের এই বিশেষ ইতিহাসের কারণে এর মধ্যে অনেক বরকত ও ফজিলত রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। হাদিস অনুযায়ী আমাদের মহানবী (সাঃ) নিজে প্রতিদিন সাতটি খেজুর খাওয়ার কথা বলেছেন। এতে নানা রোগ-বালাই, বিষাক্ত জিনিস, জাদু-টোনা থেকে মুক্তি মিলবে জানিয়েছেন। এতে বুঝা যায়, শারীরিক সুস্বাস্থ্য অর্জনে আজওয়া খেজুরের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

আজওয়া খেজুরের বৈশিষ্ট্য:
আসল আজওয়া খেজুর সাধারণত ছোট থেকে মাঝারি আকারের, বাদামী-কালো রঙের, এবং এর পৃষ্ঠে হালকা সাদা রেখা দেখা যায়। আসল খেজুরের চামড়া পাতলা ও মসৃণ এবং এটি হালকা কুঁচকে যাওয়া বা ফাটলযুক্ত হতে পারে, তবে কৃত্রিমভাবে চকচকে বা ভেজা হবে না। আজওয়া খেজুরের স্বাদ মিষ্টি এবং হালকা মধুর মতো হয়। আজওয়া খেজুরের মৃদু মিষ্টি স্বাদ ও হালকা ঝাঁঝালো গন্ধও এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য, যা একে অন্যান্য খেজুর থেকে আলাদা করে তোলে।
বর্তমানে, আজওয়া খেজুর মদিনার আশেপাশের অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চাষ হয় এবং এখান থেকে বিশ্বজুড়ে রপ্তানি করা হয়।

আজওয়া খেজুরের গুণগত বৈশিষ্ট্য:
এতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ, বি৬ ও কে থাকে, যা শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, আজওয়া খেজুরে রয়েছে—
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান: আজওয়া খেজুরে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডস (Flavonoids) এবং পলিফেনলস (Polyphenols), যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ (toxins) বের করে দিতে সহায়তা করে।অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রভাব, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, ফলে শরীর বিষক্রিয়া বা বিষাক্ত পদার্থের প্রভাবে সহজে আক্রান্ত হয় না।ইমিউনোস্টিমুল্যান্ট ক্ষমতা, যা দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।

আজওয়া খেজুরের উপকারিতা:
আজওয়া খেজুর শুধুমাত্র একটি খাবার নয়, এটি একটি বরকতময় সুন্নাহ। যারা প্রতিদিন এটি নিয়মিত গ্রহণ করেন, তারা আধ্যাত্মিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যগত উপকার; দুই দিক থেকেই উপকৃত হতে পারেন।বলা যায় ইসলামী চিকিৎসা ও আধুনিক বিজ্ঞান এখানে একই বিন্দুতে এসে মিলিত হয়েছে।
⚫এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ২.৭ গ্রাম আজওয়া খেজুর গ্রহণ করলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এবং হৃদরোগ ঝুঁকি হ্রাস পায়।
⚫আজওয়া খেজুর ডায়াবেটিস, লিভার ও কিডনি সমস্যার প্রতিরোধেও কার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
⚫ এর ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। এতে থাকা ক্যারোটিন চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
⚫ফাইবারের উপস্থিতি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
⚫ এটি স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
⚫আজওয়া খেজুর প্রোটিনের একটি ভালো উৎস, যা শরীরের গঠন ও মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়।
⚫পটাশিয়ামের উপস্থিতির কারণে এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

জারিয়াহ’র আজওয়া খেজুর কেন নিবেন ?
আমাদের কাছে আপনি পাবেন তাজা এবং ফ্রেশ ,সর্বোচ্চ উৎকৃষ্ট ও বাছাইকৃত মানের খেজুর। যা সরাসরি সৌদি আরব, মিশর আরো অন্যান্য আরব দেশ থেকে আমদানি করা হয়। এছাড়াও আমাদের কোন খেজুরে রাসায়নিক সংরক্ষণকারক পদার্থ ব্যবহৃত হয় না। তাই নিঃসন্দেহে জারিয়াহ’র খেজুর প্রিমিয়াম মানের বাজারের সেরা খেজুর, আলহামদুলিল্লাহ!
আর অপেক্ষা না করে নিশ্চিন্তে এখনই অর্ডার করুন , আমরা অবশ্যই বিশ্বস্ত মানের পণ্য আপনাদের হাতে পৌঁছে দিব ইনশাআল্লাহ।